গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. আজিজুল হক রানা ওরফে শাহনেওয়াজকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০০ সালের ২০ জুলাই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) সদস্য শাহনেওয়াজ।
ওই ঘটনায় হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গত বছরের ২৩ মার্চ ১৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। তাদের মধ্যে শাহনেওয়াজসহ পাঁচজন পলাতক ছিলেন।
একটি মামলায় শাহনেওয়াজ ২০ বছরের সাজা, রাষ্ট্রদোহ মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও আরেকটি মামলায় খালাস পেয়েছিলেন।
বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, “দীর্ঘ ২২ বছর পলাতক থেকে খিলক্ষেত এলাকায় ছদ্মবেশে রাবারস্ট্যাম্প তৈরির কাজ করে আসছিলেন শাহনেওয়াজ। গ্রেপ্তারকৃত আসামি জঙ্গিগোষ্ঠী হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর নেতা মুফতি হান্নানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল।”
সিটিটিসির প্রধান আরো বলেন, “কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলে বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। তাদের মধ্যে পাঁচজন পলাতক ছিল। এখন লোকমান, ইউসুফ, এনামুল ও মোসাহেব নামে চারজন পলাতক রয়েছে।”
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, “শাহনেওয়াজ বোমা তৈরিতে পারদর্শী এবং দীর্ঘদিন পলাতক থাকা অবস্থায় সাংগঠনিক কাজে লিপ্ত ছিল। আজিজুল নাম হলেও শাহনেওয়াজ নামেই পলাতক ছিল এবং রুমান নামেও পরিচয় দিত।”
২০০০ সালে কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের জন্য মঞ্চ নির্মাণের সময় মাটিতে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া যায়। পরদিন ৪০ কেজি ওজনের আরও একটি বোমা উদ্ধার করা হয় কোটালীপাড়ার হেলিপ্যাড থেকে। ওই ঘটনায় শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা, হত্যার ষড়যন্ত্র এবং বিস্ফোরক আইনে কোটালীপাড়া থানায় তিনটি মামলা করে পুলিশ।